রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ফাঁদ পেতেছেন সিলেট এমসি কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নাজমা বেগম। তার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে সব হারাচ্ছে যুবকরা। সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছে তাদের পরিবারও। অবশ্য আর্থিক ফায়দা হাসিল হওয়ার পর সমঝোতা করেন তিনি। তুলে নেন মামলাও।
সবশেষ নাজমার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন সিলেট নগরীর চৌকিদেখী এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. ফয়সাল। বিভিন্নভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন ওই ছাত্রী। এতে বিপাকে পড়েছেন ফয়সাল, তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভুক্তভোগী ফয়সালের বোন রুমি বেগম। লিখিত বক্তব্যে নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রুমি বেগম বলেন, নাজমার বাবা নেই। সে নগরীর আম্বরখানা সাপ্লাই এলাকায় মা ও তিন ভাই-বোন নিয়ে থাকে। ওই পরিবারের আয়ের উৎসও আমরা জানি না। আমার ভাইয়ের সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সে আমার ভাইয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে। এরপর ব্ল্যাকমেইল করে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েক দফায় টাকা নেয়।
তিনি আরো বলেন, ১০ জানুয়ারি নাজমা একটি সংবাদ সম্মেলন করে আমার ভাই, পরিবার ও তার বন্ধুদের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। ওই সময় সে বলে- আমার ভাই ফয়সাল তাকে বন্ধু সজলের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে। সজলের স্ত্রী, বাবা-মা ও ভাই-বোনদের সামনেই নাকি তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবরও নাকি ফয়সাল তাকে বিয়ের কথা বলে বাসায় ডেকে ধর্ষণ করেছে।
ফয়সালের বোন বলেন, এসব ভিত্তিহীন অভিযোগে নাজমা গত বছরের ৩ নভেম্বর এয়ারপোর্ট থানায় আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওই ছাত্রী, কিন্তু ধর্ষণের কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। আমাদের দেশে পরিবারের সদস্যদের সামনে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করা কখনো সম্ভব না। সে আর্থিক ফায়দা হসিলের জন্য আমার ভাই ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ফয়সালের বন্ধুদের বিরুদ্ধেও সে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাজমা বেগম সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কুচাই পশ্চিমভাগ গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা করে টাকা হাতিয়ে নেয়া ওই মেয়ের নেশা। এর আগে, ওই মেয়েটি গত বছরের ৮ জুলাই নগরের পূর্ব পীর মহল্লা এলাকার শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলা করে। এই মামলায় শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে শাহাবুদ্দিনের পরিবার মোটা অংকের টাকা দিলে মামলা তুলে নেয় নাজমা। এভাবে আরো অনেকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির জানান, নাজমা বেগম নামে ওই কলেজছাত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ কিংবা মামলা হয়নি। ভুক্তভোগী কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply